ক্রোধে বুদ্ধিভ্রম
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০২:১২:৪৩ দুপুর
"... একদা এক বোলতা এক সাপের মাথার ওপর বসে অনবরত তাকে হুল ফোটাচ্ছিল। যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে সাপটা কেবলই ভাবছিল, কী করে এর প্রতিশোধ নেওয়া যায়। কামড়াতে তো একে পারছি না। শেষে একটা গাড়ি আসতে দেখে বোলতাকে মারবার জন্যে রেগেমেগে সে নিজের মাথাটা এগিয়ে দিল গাড়ীর চাকার নীচে। আর গাড়ীর চাকার চাপে সাপের মাথা একেবারে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেল। বোলতা উড়ে গেল!"- (ঈশপের গল্প থেকে)
আজ যখন দেখি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে বিরোধী দল হরতাল দিয়ে, পরোক্ষভাবে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে উৎসাহ দিয়ে এই যে গার্মেন্টস সেক্টরকে ধ্বংস করার দিকে নিয়ে যাচ্ছে; তারা যখন সরকারে যাবে তখন এই মৃতপ্রায় সেক্টরকে দিয়ে তাদের কি হবে? লাগাতার হরতালের ফলে বিদেশী ক্রেতাদের সময়মত পোশাক ডেলিভারী দেয়া যাচ্ছে না। ফলে দেশের এই অস্থির পরিবেশ দেখে ক্রেতারা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। নতুন করে জিএসপি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তাই গল্পের সেই সাপটির মতো গাড়ীর নীচে মাথা না দেবার জন্য সংস্লিষ্ঠ সকল মহলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্লীজ! মাথা ঠান্ডা রাখুন।
ক্ষমতায় যাবার জন্য দেশটাকে ধ্বংস করবেন না!
বিষয়: রাজনীতি
৯২৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই সরল সমিকরন টা থেকে আমাদের বের হওয়া দরকার। আমি নিজে দির্ঘদিন টেলিকম সেক্টর এ কাজ করেছি। এই সরকার এর ভুল পলিসির জন্য আমার মত অনেক দক্ষ প্রকেীশলি এখন বেকার বা নিজেদের দির্ঘদিন এর অভিজ্ঞতার ব্যবহার বন্ধ করে অন্য সেক্টরে কাজ করছে। এই সরকার তো নির্বাচন দেয়নি।
এখন আমি কেন সরকার বিরোধি আন্দোলনকে সমর্থন করবনা বলতে পারেন?
আমি এই আহ্বান উভয়ের প্রতিই করেছি। কিন্তু সরকার বিরোধী আন্দোলন মানেই দেশ এবং আমার মত অফিস ফেরত সাধারণ মানুষকে জ্বালিয়ে মারাকে ও তো সমর্থন করা যায় না।
কে করছে আমি জানি না। কিন্তু সরকার এবং আন্দোলনকারীদের বৈরীতার সুযোগে কেউ না কেউ তো করছেই। আমার সমস্যা এখানেই।
জাতির বিশেষ মর্যাদাবান নাগরিক মামুন ভাইয়ের মত মানুষেরা যদি এমন সরল হিসাব কষেন তবে এমন জাতির জন্য ভালো খবর আশা করতে আমার নিজেকেই মূর্খ মনে হয়!
দুঃখিত, গতকাল থেকে ডজনাধিক এমন মানের মানুষের কাছে একই সুরে কথা শুনলাম!
সরকারকে এক্ষেত্রে বাহ্যতঃ সফলই মনে হচ্ছে!!
আপনার দূঃখ পাবার জন্য আমি দুঃখিত। কিন্ত মনে কষ্ট নিবেন না,আমার মত মানুষকেই বাসে পেট্রোল বোমায় ঝলসে মরতে হচ্ছে। গতকালও বাইপাস সড়ক দিয়ে আসার সময়ে আমার বাসে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল, ভাগ্য ভালো চলন্ত বাসে না লেগে সেটি একটি গাছে লাগে এবং বিস্ফরিত হয়। আপনার কথানুযায়ী ওটি আমাদের বাসে লাগলে আপনাদের আন্দোলন সফল হতো?? আমি নির্দিষ্ট দলের পক্ষে কথা বলছি না। আমি আমার মত সাধারণ মানুষের তথা দেশের কথা বলেছি। যারা এগুলো করছে, তাঁরা এই আন্দোলন করে কিছুই করতে পারছে না। নিরীহ মানুষের জীবন নিচ্ছে। হরতাল অবরোধের ভিতরেও প্রচন্ড জ্যামের কারনে বসে থাকতে হচ্ছে। তবে কি করতে পারছে আন্দোলনকারীরা? সরকারকে কোনো চাপের মুখেই তো রাখতে পারছে না।
তাই বলব, এরকম জনবিচ্ছিন্ন আন্দোলন দিয়ে কিছুই হবে না। জনগনকে তো তাদের ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না, সব চলছে, তবে শুধু শুধু আতংক তৈরী করে কি লাভ?
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহতায়ালা আপনাকে হেফাজত করেছেন!
কিন্তু কথা হচ্ছে-
বর্তমানে যা ঘটছে সেসব তো রোগী/রোগের অন্তিম অবস্থা!!!
যখন রোগটা শুরু হয়েছিল এবং রোগী চিতকার করছিল তখন নির্ঝঞ্ঝাট প্রতিবেশীরা গায়ে মাখেননি! এখন তো পূরো গ্রামে মহামারী!!
সমাজ কেন নষ্ট হয়, শান্তি কেন চলে যায়- ইত্যাদি বিষয়ে গভীর অধ্যয়ন ছাড়া সাধারণ চোখে দেখলে আপনার চোখ বেঠিক দেখেনি! কিন্তু প্রথমটাই ছিল প্রত্যাশিত!
অবশ্যই ডাক্তার, গো্যেন্দা, সমাজসেবক বা শিক্ষকের চোখ একরকম দেখেনা!
আমি বিশ্বাস ও আশা করি- আল্লাহতায়ালা আপনাকে দীর্ঘায়ু করুন- একসময় বোধগম্য হবে ইনশাআল্লাহ!!
কাদের সিদ্দিকী আসিফ নজরুল বদরুদ্দীন উমর প্রমুখরা আজ সেটাই বুঝছেন ও স্বীকার করছেন যা অন্যরা সত্তুরে বুঝেছেন, ভেবেছেন ও বলেছেন!
সংকট সমাধানে আপনার কোন সুচিন্তিত মতামত পেলে হয়তো আমার বুঝতে ও ভাবতে সুবিধে হতো!
ফী আমানিল্লাহ
মন্তব্য জমিয়ে রাখলাম!!!
কখনো সুযোগ হলে.....
মন্তব্য করতে লগইন করুন